ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতাল ২০২১ সালে ১০০ শয্যা হতে ২৫০ শয্যায় রুপান্তর করা হয় । ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে এই প্রতিষ্ঠানটি জেলার প্রায় ২০ লক্ষ জনগনের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে কাজ করে চলেছে । বিগত ৩ বছরে হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির স্বাক্ষর রেখেছে । এর মধ্যে ২৪/৭ ইওসি সার্ভিস কেন্ত্র সম্প্রসারণ,এএনসি ও পিএনসি সেবার আধুনিকায়ন, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ও কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা কর্ণার স্থাপন,অটোমেশন পদ্ধতি বাস্তবায়ন,বৈকালিক বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য সেবা, ভর্তিকৃত রোগীর স্বজনদের জন্য গেট পাশ সিষ্টেম চালু করণ, সেবা প্রাপ্তি সহজীকরনে দিক নির্দেশক প্রবর্তন, ডোপ টেষ্ট কার্যক্রম, ব্লাড ব্যাংক স্থাপন, সিটিজেন চার্টার প্রনয়ন এবং সবুজ বনায়ন উল্লেখ যোগ্য । তা ছাড়াও হাসপাতাল পরিচালনায় “ কমিউনিটি এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম ” এর মাধ্যমে এটি দেশের অন্যান্য হাসপাতালের জন্য মডেল হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে । ২০২১ হতে ২২ সালে অস্ত্রপচারের সংখ্যা প্রায় ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে । একই সময়ে প্রসব পূর্ববর্তী সেবা এবং অন্ত বিভাগে রোগী ভর্তির হার যথাক্রমে শতকরা ১৩ থেকে ১৯ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানে হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট, আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে । শিশু বিভাগে স্ক্যানু , ইনকিউবেটর এবং ফটোথেরাপী ম্যাশিন স্থাপনের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভবপর হচ্ছে । বৈশ্যিক মহামারী কোভিড -১৯ চিকিৎসা প্রদানে এই হাসপাতালটি অগ্রগামী ভুমিকা পালন করেছে । সাফল্যের সাথে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের স্বীকৃতি স্বরুপ এই হাসপাতালটি ২০২০ সহ সর্বমোট ৪ বার জাতীয় পর্যায়ে স্বস্থ্য মন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে । হাসপাতালের সকল সদস্যবৃন্দ হাসপাতালের সার্বিক মানোন্নয়নে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর । আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং ২০৪১ সালে রুপকল্প বাস্তবায়ন সহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঝিনািইদহ জেনালে হাসপাতাল অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে ।